Vitamin E এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট কি?
ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই হলো একটি fat-answerable বা চর্বি-প্রতিউত্তরযোগ্য ভিটামিন। যা দেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলির সম্পূর্ণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে আমাদের দুর্বল নার্ভ সিস্টেমকে সমর্থন করা, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কোষকে রক্ষা করা, চোখের ড্রাইনেস কম দেখা ও উদ্বেগ (anxiety) থেকে রক্ষা করা। স্বাস্থ্যকর লম্বা ঘন চুল এবং উজ্জ্বল ত্বক বজায় রাখা।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট হল অন্যান্য খাদ্য সম্পূরক ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের মতো একটি খাদ্য সম্পূরক।
যখন আমরা আমাদের খাদ্য ও পানীয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন পাই না, তখন আমাদের সু-স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য ভিটামিন জাতীয় খাদ্য সম্পূরক গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। তথ্যসূত্রঃ
ভিটামিন ই এর অভাব জনিত ৫ টি শারীরিক লক্ষণ। most usual 5 Signs of Vitamin E Deficiency
আমাদের শরীরে কখনও কখনও ভিটামিন এবং মিনেরালস এর মাত্রা অনেক কমে যায়। যা ভিটামিনস ডিফেসিয়েন্সি (Vitamin Deficiency) বা ভিটামিনের ঘাটতি হিসাবে পরিচিত। যখন কেউ এই ভিটামিন এবং মিনেরালস এর অভাবে থাকে, তখন ভিটামিনের অভাব জনিত অনেক রোগে আক্রান্ত হয়।
তাই ভিটামিন ই ও অন্যান্য ভিটামিন এর অভাব জনিত লক্ষণগুলো শনাক্ত করে, যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও খাদ্য সম্পূরক গ্রহণ করে শরীরে ভিটামিন প্রবেশ করান। এবং Vitamin E ও অন্যান্য ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ করুন।
ভিটামিন ই এর অভাবের প্রধান ৫টি লক্ষণ।
১। স্নায়ু বা নার্ভ এবং মাংস পেশীর ক্ষতি লক্ষ্য করা।
২। মাসলস বা পেশীর দুর্বলতা অনুভব করা।
৩। ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
৪। দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাওয়া।
৫। বাহু এবং পায়ের অনুভব শক্তি কমে যাওয়া।
উপরোক্ত এই ৫ টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে, আপনার শরীরে ভিটামিন ই অভাব বা ঘাটতি রয়েছে। দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অথবা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার ও খাদ্য সম্পূরক গ্রহণ করুন।
এবং আপনার Vitamin E এর অভাব রয়েছে কিনা! তা সঠিকভাবে জানতে ব্লাড টেস্ট বা ভিটামিন ই টেস্ট কিট ব্যবহার করুন। এবং যথাসম্ভব ডেইলি ভ্যালু এডযাস্টেড মাল্টি ভিটামিন বা Vitamin E সাপ্লিমেন্ট ক্যাপসুল গ্রহণ করুন।
ভিটামিন ই এর অভাব জনিত সম্ভাব্য রোগ সমূহ।
বাচ্চাদের মধ্যে ভিটামিন ই এর অভাব জনিত সম্ভাব্য রোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে। ১, তাদের হাঁটা চলাতে অসুবিধা হওয়া। ২, কোন কাজের সঠিক প্রতিফলন না করতে পারা। ৩, সমন্বয় বোধ করতে না পারা। ৪, বাচ্চাদের এনিমিয়া (anaemia) বা রক্তে হিমগ্লোবিন এর পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হয়। ৫, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ৬, পেশীগুলো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের মধ্যে ভিটামিন ই এর অভাব জনিত সম্ভাব্য রোগ সমূহের তালিকায় রয়েছে। ১, ভিটামনি ই এর অভাবে রক্ত সল্পতা দেখা দিতে পারে। ২, চোখের দৃষ্টি কমে যেতে পারে। ৩, রক্তে লোহিত রক্তকণিকার অভাব দেখা দিতে পারে।
তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন ই-এর অভাব খুব কমই দেখা যায়। এবং Vitamin E Deficiency এর লক্ষণগুলি খুব কমই দেখা দেয়। কারণ প্রাপ্তবয়স্করা চর্বি (অ্যাডিপোজ) টিস্যুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই সঞ্চয় করে রাখতে পারে। (খাদ্য এবং খাদ্য সম্পূরক থেকে।)
ভিটামিন E সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাবারগুলো কি কি?
প্রাকৃতিক ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদাম এবং কোমড়ার বীজ, সূর্য মূখীর বীজ, আলমোন্ড, এভোকাডো, ব্ল্যাকবেররি, কিউই ফল, আম, আখরুট, জলপাই, পুঁইশাক, ব্রুকলি, সবুজ শাক-সবজি এবং স্লাজ ক্যানভাস এবং শস্য।
আমাদের শরীর খাবার ও খাদ্য সম্পূরক থেকে ভিটামিন ই সংগ্রহ করে। এবং প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ খরচ করে, অতিরিক্ত ভিটামিন ই সংরক্ষণ করে রাখে। এমনকি আমাদের শরীর ভিটামিন ই অনেক দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখে। তথ্যসূত্রঃ
Vitamin E ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট ও তার ব্যবহার বিধি।
ফার্মেসি এবং ফুড সাপ্লিমেন্টের দোকানে অনেক কোম্পানির ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট পাবেন। তবে আপনি জেনেরিক নামের ন্যাচারাল-ই, ই-ক্যাপ, ভাইটাল-ই, ইভিট সফট এবং আরও অনেক নামে সেরা Vitamin E সাপ্লিমেন্ট পাবেন।
ই-ক্যাপ এবং ইভিট সফট হল সেরা ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্টর মধ্য থেকে, যা ডক্টর জাহাঙ্গীর কবির স্যার ও সাজেশ্ট করে থাকেন।
যদি কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে Vitamin E এর অভাব বা ঘাটতি থাকে। তাহলে তিনি প্রতিদিন ২০০mg থেকে ৪০০mg vitamin E খাদ্য থেকে গ্রহণ করবেন। অথবা ১-৩ মাস ২০০-৪০০mg খাদ্য সম্পূরক গ্রহণ করে শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করবেন। এবং ভিটামিন ই এর অভাব জনিত রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ!
তবে ১ মাস পর আপনার শরীরের ই সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন কিনা? চেকআপ করে বা আপনার ডাক্তার থেকে জেনে নিন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা সমূহ | Vitamin E Capsules Benefits in Bengali
ন্যাচারাল vitamin E ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে, আপনি নিম্নোক্ত ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা লক্ষ্য করতে পাবেন।
- ১. ভিটামিন ই একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার শরীরের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এবং অতিরিক্ত ফ্রি রিডিকালস থেকে রক্ষা করে, আপনার কোষ ডেমেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এক অনন্য ভূমিকা রাখে।
- ২. আপনার মেজাজ ভালো রাখতে ও ফুরফুরে করে তুলতে সাহায্য করে। বিশেষ করে নারীদের ঋতুস্রাব জনীত ও হরমোনাল পরিবর্তনে খিটখিটে মেজাজকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
- ৩. উদ্বেগ বা Anxiety হ্রাস করে। এটি অ্যামিনো এসিডস ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায়, আপনার উদ্বেগ (anxiety) দূর করতে সাহায্য করে।
- ৪. বিষন্নতা কমাতে সাহায্য করে। একটি গভেষণায় দেখা যায় যে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার ফলে অধিকাংশ রুগী অল্প সময়ে তাদের বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।
- ৫. রাতে অবিচ্ছিন্নভাবে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।
- ৬. আপনার ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করবে। বা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস ও রোগের সাথে ফাইট করতে আপনার শরীরকে সাহায্য করবে।
- ৭. চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই আপনার চুলের গোড়া বা হেয়ার এবং হেয়ার রুটকে হাইডরেট করে। এবং চুলের গোড়াকে শক্ত করে চুল পড়া রোধ করে।
- ৮.আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন বা রাতে ঘুমানোর পূর্বে একটি ক্যাপসুল ভেঙে চেহারায় সিরামের মত লাগাতে পারেন। এতে আপনার চেহারার সৌন্দর্য্য, মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
- ৯. বলিরেখা, চোখের নিচের কালো দাগ, এবং বার্ধক্যের চিহ্ন রোধ করতে সহায়তা করে। Vitamin E তে আছে Antioxidants যার টপিকাল ব্যবহার কোলাজিন প্রোডাকশন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবং আপনার চেহারায় বার্ধক্যের চিহ্ন ও wrinkles, fine lines কে উপস্থিত হতে দেয়না।
- ১০. চোখের জৌতির উন্নতি সাধন করে। এবং আপনার স্বরণ শক্তি ও মস্তিষ্ক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্রঃ